অর্থাৎ, (পরহেযগাররা) কি
তাদের মতো,) যাদেরকে
পান করতে দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি; যা তাদের নাড়ীভুড়ি ছিন্ন-ভিন্ন করে দেবে?
মুহম্মদঃ
১৫।
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বললেন, জাহান্নামের আগুন
তোমাদের আগুনের তুলনায় ৬৯ গুণ বেশী উত্তপ্ত। মুসলিম ৮৩২৪।
জাহান্নামের
একটি পাথর
জাহান্নামের কিনারা থেকে নিক্ষেপ করা হবে তা নিচ পর্যন্ত পৌঁছতে ৭০ বছর লাগবে।
এতদসত্ত্বেও জাহান্নাম পাপীদের দ্বারা ভর্তি হয়ে যাবে। তোমরা কি আশ্চর্যাম্বিত
হয়েছ? মুসলিম ২৯৬৭।
রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। নিশ্চয়ই
মৃত্যুর যন্ত্রণা অনেক কঠিন। সহিহ
বুখারি হাদিস
১০৬৫।
হাশরের ময়দানে সূর্য
খুব কাছাকাছি থাকবে। অর্থাৎ এক থেকে দুই মাইল উপরে থাকবে সূর্য। সুনানে তিরমিজী-
২/৬৮, হাদীস
২৪২১।
কুরআনে ও হাদিসে অনেক অনেক জান্নাতে বর্ণনা রয়েছে তার মাঝে কিছু আয়াত ও হাদিসঃ- জান্নাত হল এমন এক স্থান, যেখানে শুধু সুখ আর সুখ।মানুষ যা চাইবে তাই পাবে। এখানে মানুষ আর মৃত্যুবরণ করবেনা।
মুত্তাকীরা থাকবে
ছায়া আর ঝর্ণাধারার মাঝে, আর তাদের জন্য থাকবে
ফলমূল-যেটি তাদের মন চাইবে।সূরাহ আল-মুরসালাতঃ ৪১-৪৪।
জান্নাতে মদ্যপান
করার পর কোন প্রকার মাতলামি ভাব দেখা দিবে না।সূরাহ মারইয়াম ৬২।
জান্নাতিদের পানের
জন্য সুস্বাদু পানি, সুমিষ্ট দুধ, সুস্বাদু শরাব, পরিষ্কার স্বচ্ছ মধুর নদীও জান্নাতে
বিদ্যমান থাকবে। সূরাহ আদ্-দাহ্রঃ
১৫-১৮।
জান্নাতিদের
মেহমানদারির জন্য অন্যান্য ফল ব্যতীত খেজুর, আঙ্গুর, আনার, বরই, আনজীর ইত্যাদি ফলও থাকবে। সূরাহ মুহাম্মদঃ ১৫।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে লোক
জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে সেখানে সুখে-স্বচ্ছন্দে আয়েশের মধ্যে ডুবে
থাকবে, কোন প্রকারের দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা তাকে পাবে না এবং তার
পোশাক-পরিচ্ছদ ময়লা বা পুরাতন হবে না, আর তার যৌবনও নিঃশেষ হবে না।
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)অধ্যায়ঃ পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা হাদিস নম্বরঃ ৫৬২১।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জান্নাতে একটি
চাবুক (লাঠি) রাখা পরিমাণ স্থান গোটা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা
কিছু আছে, তা থেকে উত্তম।
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)অধ্যায়ঃ পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা হাদিস নম্বরঃ ৫৬১৩।
একটু ভাবুন তো!
এক লাঠি পরিমাণ জায়গার মূল্য যদি পুর পৃথিবীর চেয়েও মূল্যবান হয় তাহলে সেই জান্নাত
কত সুন্দর। অথচ সব থেকে ছত জান্নাত হবে ১০ আসমান জমিন পরিমাণ। সুবহানাল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জান্নাতী
মুমিনদেরকে এত এত সহবাসের শক্তি প্রদান করা হবে। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! এক
লোক এত শক্তি রাখবে কি? তিনি (সা.) বললেন, প্রত্যেক লোককে একশত পুরুষের শক্তি দান করা হবে।
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) অধ্যায়ঃ পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা হাদিস নম্বরঃ ৫৬৩৬
হাদিসে হুরকে তাদের হাড়ের মজ্জা থেকেও
স্বচ্ছ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে চির
যৌবনা এবং মাথা ব্যতীত লোমহীন, খাঁটি এবং সুন্দর। সহীহ বুখারী।
তাদের প্রত্যেকের দু'জন স্ত্রী থাকবে, যাদের মজ্জা মাংসের নীচে থেকে দেখা যাবে। স্বর্গে স্ত্রী ছাড়া আর কেউ থাকতে পারবে না। সহীহ মুসলিম ৪৫।
একবার ভাবুন। মৃত্যু আপনার অতি সন্নিকটে।
এখনি যদি আপনার মৃত্যু হয় তাহলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
জাহান্নামের সেই
ভয়ংকার শাস্তি যা এই দুনিয়ার কোন শাস্তির সাথে তুলনা করা যাবেনা।
জান্নাতের অবিরাম
সুখ। যেখানে কোন কিছুর অভাব থাকবে না।
এখন
আপনি সিদ্ধান্ত নিন কোথায় যাবেন।অবশেষে একটি আয়াত দিয়ে
আমার আলোচনা শেষ করতে চায়, সুরা মূলক আয়াত নম্বর ১০।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।