- ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি?
- শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি?
- শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি?
- ইসলামে কোন কোন দিন সহবস করা নিষেধ?
- শুনেছি অমবশ্যার রাত, ঈদের রাত, চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ, পূর্ণিমার রাত, শনিবার, মঙ্গলবার ও দিনের বেলা সহবাস করতে হয় না। এ কথা গুলি কি সঠিক? কুরআন ও হাদিস কি বলে?
সহবাসের নিসিদ্ধ সময়। ইসলামে
সহবাসের নিসিদ্ধ সময় আছে
কি ?
আমাদের সমাজে
কুরআন ও
হাদিসের নামে
অনেক কুসংস্কার
ও ভ্রান্ত
ধারণা চালু
আছে। আমরা
মনে করে
থাকি এই
গুলি কুরআন
ও হাদিসের
কথা। অথছ
এই কথা গুলি কুসংস্কার
ও ভ্রান্ত
ধারণা কুরআন
হাদিসে এর
কোন অস্তিত্ব
নেই। অনেক সময় যা কুরআন ও
হাদিস বিরোধী। এমনকি এই
কুসংস্কার ও
ভ্রান্ত ধারণা শির্কের পর্যায়ে চলে গেছে। যার ফলাফল হতে পারে জাহান্নাম। মানুষ জান্নাতের
আশাই ইসলাম
ধর্ম পালন
করতে গিয়ে
জাহান্নামে চলে যাচ্ছে। আর মানুষকে
সহবাসের আসল
আনান্দ থেকে
দূরে রেখেছে। যা কখনোই
কাম্য নয়। সহবাস হল বিবাহিত জিবনের প্রথম সারির চাহিদা।
সহবাসের (মিলনের) কোন নির্দিষ্ট নিষিদ্ধ সময় নেই, কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে পাঁচটি সময় ব্যতীত। এই পাঁচটি সময় ছাড়া যতো গুলি
নিষিদ্ধ সময় আমরা শুনতে পাই তার অধিকাংশ কুসংস্কারের অন্তর্ভূক্ত। যা ভিত্তিহীন। ইসলামে এর কোন স্থান নেই।
দিন রাত্রে স্বামী
স্ত্রীর যখন সহবাসের ইচ্ছে ও সুযোগ হবে তখনই সহবাস করতে পারবেন। মহান আল্লাহ্ বলেন "অতঃপর যখন তারা পবিত্র
হয়, তখন তাদের নিকট ঠিক সেইভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে
এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।” (সূরা বাকারা আয়াত নং ২২২)
সপ্তাহে তিন দিন সহবাস
করা হারাম। এই কথা কি সঠিক?
এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমাদের
সমাজে ইসলামের নামে অনেক ভ্রান্ত
ধারণা বা কুসংসকার চালু
আছে যার মঝে এটি
অন্যতম একটি ভ্রান্ত ধারণা
“সপ্তাহে তিন দিন সহবাস
করা হারাম”। কুরআন ও হাদিসে কোথাও
এমন কথা বলা হয়
নি। যা মানুষের মন গড়া কথা।
যে পাঁচটি সময়ে সহবাস
করা হারাম তা হলঃ-
➱ইতিকাফ অবস্থায়।
➱হজ বা ওমরা অবস্থায়।
➱মাসিক বা হায়েজ অবস্থায়।
➱বাচ্চা
হবার পর নেফাস অবস্থায়
সহবাস করা হারাম।
➱রমজান মাসে দিনের বেলায় রোজা অবস্থায় সহবাস করা হারাম।
তবে রমজান মাসে রাতের
বেলা সহবাস করতে পারবেন। কোন
সমস্যা নেই।
বিস্তারিত জানতে হলে দেখুনঃ-
সহীহ
মুসলিম ১৪/ রোজা হাদিস
নম্বর ২৪৬৮। সুরা
আল বাকারা আয়াত নাম্বার
২২২।
সূরা আল বাকারা আয়াত
নম্বর ১৮৭। সূরা
আল-বাকারা আয়াত নম্বর
১৯৭।
সহিহ বুখারী অধ্যায়ঃ ৬/
মাসিক হাদিস নম্বরঃ- ২৯৮।
এই পাঁচটি সময়ের বাইরে
সহবাসের আর কোন নিষিদ্ধ
সময় নেই। উপরের
সময় ছাড়া যে কোনো
সময় সহবাস করা যাই। হতে পারে দিন অথবা রাত অথবা ঈদের রাত অথবা অমব্যা রাত। আমাদের সমাজে এই রকমের একটি কথা চালু আছে জা স্পষ্ট শিরকের অন্তর্ভুক্ত। “দিনের বেলা সহবাস করলে স্বামীর আয়ু কমে যায়” আপনি যদি এই কথা বিশ্বাস করেন তাহলে স্পষ্ট শিরক হবে। যার পরিণাম জাহান্নাম।
আমাদের সমাজে প্রছালিত কিছু কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা। নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ-
➱বিদেশে বা সফরে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না।
➱জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস (মিলন) করা যাবে না।
➱চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে সহবাস করা যাবে না।
➱লজ্জা স্থান দেখে দেখে সহবাস করা যাবে না।
➱পূর্ণিমার রাতে সহবাস করা যাবে না।
➱দিনের বেলা সহবাস করা যাবে না।
➱ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে না।
➱মঙ্গলবার সহবাস করা যাবে না।
➱শনিবার সহবাস করা যাবে না।
➱সম্পূর্ণ উলঙ্গ হওয়া যাবে না।
➱ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে না।
➱মঙ্গলবার সহবাস করা যাবে না।
➱শনিবার সহবাস করা যাবে না।
➱সম্পূর্ণ উলঙ্গ হওয়া যাবে না।
উপরের কথা গুলি ভিত্তিহীন মেনে চলার দরকার নেই। বিশ্বাস করার ও দরকার নেই। আর বিশ্বাস করলে শিরক হবার সম্ভাবনা আছে।
যেটি লেখা ভালো লাগে তার উপর টাচ করুন। বিস্তারিত জানতে হলে।
- নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য সব থেকে সেরা কিছু কৌশল।
- কুরআন ও শাহিহ হাদিসের আলোকে নামাজ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
- মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের পথে চলার অসাধারণ সহজ কৌশল।
- রুমে আলো জ্বেলে সহবাস করা যাবে কি?
- সহবাসের (মিলনের) সময় সম্পূর্ণ উলঙ্গ হাওয়া যাবে কি?
- সহবাসের সময়ে নিজেদের লজ্জাস্থান দেখলে (দেখে দেখে সহবাস করলে) কোন ক্ষতি আছে কি?
- সহবাসের পর দ্রুত গোসল করা কি জরুরী?
- সহবাসের পর ফরজ গোসল না করে সংসারের সকল কাজ (খাওয়া, রান্না-বান্না,ঘর ঝাড়ু দেয়া) করা যাবে কি?
- হায়েজ বা মাসিক অবস্থায় কি কি আমল করা যাবে আর কি কি আমল করা যাবে না।
জাঝাকাল্লাহু খাইরান ❤❤❤
ReplyDelete